শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৩২ পূর্বাহ্ন
হারুন-অর-রশিদ বাবু- বিশেষ প্রতিনিধি.
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রংপুর মহানগর শাখার আয়োজনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকেলে নগরীর শাপলা চত্বর মহানগর কার্যালয়ে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চল টীম সদস্য, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বেলাল।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক রংপুর শহর শাখার আমির অধ্যাপক রুহুল কুদ্দুস, মহানগর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি রায়হান সিরাজী ও আল আমিন হাসান। প্রচার ও মিডিয়া বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট কাউসার আলী, কর্মপরিষদ সদস্য ও মানব সম্পদ বিভাগের সেক্রেটারি আব্দুস ছাত্তার শাহ প্রমূখ।
মহানগর সেক্রেটারি অধ্যাপক আনোয়ারুল হক কাজল এর সঞ্চালনায় সভায় সভাপতিত্ব করেন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও মহানগর শাখার আমীর উপাধ্যক্ষ এটিএম আজম খান।
সভায় প্রধান অতিথীর বক্তব্যে মাহবুবুর রহমান বেলাল বলেন, আমরা ৫৩ বছর পূর্বে আজকের এই দিনে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছি। কিন্তু আমরা এমন দূর্ভাগা জাতী ৫৩ বছর পরও বিজয়ের সুফল ভোগ করতে পারি নাই। এ জাতিকে তাদের মৌলিক অধিকার আদায়ের জন্য রক্ত দানের সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হয়েছে। যার সর্বশেষ সংযোজন ২০২৪ এর ৩৬ জুলাই ৫ আগষ্ট। বিগত ৫৩ বছর স্বাধীন স্বার্বভৌম বাংলাদেশকে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের করদ রাজ্য বানানোর সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছিল ২০২৪ এর পরাজিত শক্তি আওয়ামী বাকশালী চক্র।
কিন্তু শহীদি চেতনায় উজ্জিবিত এদেশের তৌহীদি ছাত্র-জনতা ভারতীয় এদেশীয় এজেন্ট আওয়ামী বাকশালীদের সকল অপচেষ্টা রুখে দিয়ে ২০২৪ এ প্রকৃত বিজয় অর্জনে সক্ষম হয়েছে। আমরা অত্যন্ত উদ্বেগের সংগে লক্ষ্য করছি ২০২৪ এর পরাজিত এবং বাংলাদেশ থেকে বিতারিত ঐ হায়েনা আওয়ামী বাকশালী খুনিচক্র যারা এদেশে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে দীর্ঘ ১৬ বছর জাতীর ঘাড়ে জগদ্দল পাথরের মতো চেপে থেকে প্রকৃত দেশ প্রেমিক রাজনৈক দলের শীর্ষ নেতাদের মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় ফাঁসি দিয়ে খুন করেছে, অসংখ্য নেতা কর্মী খুন গুমের স্বীকারে পরিনত করেছে, তারাই আবার ২৪ এর বিপ্লবের মাধ্যমে অর্জিত দ্বিতীয় স্বাধীনতাকে নস্যাত করার জন্য প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সহায়তায় গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে, দেশবাসীকে সকল ষড়যন্ত্রকে রুখে দেওয়ার জন্য ঐকবদ্ধ থাকা ও স্বজাগ দৃষ্টি রাখার আহ্বান জানান।